হারারে টেস্টের দ্বিতীয় দিন স্বস্তিতে কেটেছে বাংলাদেশের। মাহমুদউল্লাহর দেড়শ রানের ইনিংস এবং তাসকিনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে লড়াই করার বড় পুঁজি পেয়েছে সফরকারীরা। কিন্তু, শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে চোখ রাঙানি দিয়েছে জিম্বাবুয়েও।
কাল দ্বিতীয় দিনের শেষ দিকে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ের মাত্র একটি উইকেট ফেলতে পেরেছে বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার তৃতীয় দিন দ্রুত স্বাগতিকদের আউট করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ এক উইকেটে ১৭৪ রান। এখনও ২৯৪ রানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার বোলিং নিয়ে কিছুটা ভুগতে দেখা গেছে বাংলাদেশকে। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ের উইকেট পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২৭.২ ওভার পর্যন্ত। এরপর স্বাগতিক ওপেনার মিল্টনকে এলভির ফাঁদে ফেলেন সাকিব আল হাসান। ৮৩ বলে ৪১ রান করে ফেরেন জিম্বাবুয়ের ওপেনার। এরপর আর একটি উইকেটও ফেলতে পারেননি বাংলাদেশি বোলাররা।
কাল শেষ সেশনে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এক উইকেটে ১১৪ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে জিম্বাবুয়ে। এর আগে ব্যাট করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪৬৮ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৫০ রান করেছেন ১৬ মাস পর টেস্টে ফেরা মাহমুদউল্লাহ। এটাই টেস্টে তাঁর ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বোচ্চ ছিল ১৪৬ রান।
লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহর লড়াইয়ে গত বুধবার টেস্টের প্রথম দিন ভালো-মন্দে শেষ করে বাংলাদেশ। দিনের শেষ দিকে লিটন ফিরলেও তাসকিনকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন মাহমুদউল্লাহ। কাল তাসকিনকে নিয়েই দলকে বড় ইনিংস গড়ে দিলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।
ক্যারিয়ারের ৫০তম টেস্ট খেলতে নেমে পঞ্চম সেঞ্চুরি করেছেন মাহমুদউল্লাহ। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সফরে শেষ নিজের ৪৯তম টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি।
হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কাল মাঠে নেমে দিনের ১৭ ও ইনিংসের ১০০তম ওভারে পরপর জোড়া বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শতক করলেন তিনি। সেঞ্চুরি করতে মাহমুদউল্লাহ খেলেছেন ১৯৫ বল। যেখানে ছিল ১১ চার ও একটি ছক্কার মার।
মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তাসকিন আহমেদও দারুণ খেলেছেন। যেখানে দলের নিয়মিত ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হয়েছেন। সেখানে এই পেসার যেন বনে গেছেন পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান। ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত করেছেন ৭৫ রান। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১ বাউন্ডারি দিয়ে। এর আগে ২০১৭ সালে ক্রাইস্টচার্চে করেছিলেন ৩৩ রান। সেটিই ছিল টেস্টে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর। সেটিকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি।
এ ছাড়া তাসকিন-মাহমুদউল্লাহর জুটিতে রেকর্ড হয়েছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এর আগে নবম উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি ছিল ৩৫ রানের। সেটি ছিল ২০০৫ সালে মাশরাফী ও তাপস বৈশ্যের। এবার সেই রেকর্ডও ছাপিয়ে গেলেন তাসকিন-মাহমুদউল্লাহ। দুজনে মিলে গড়েন ১৯১ রানের রেকর্ড জুটি।
পাঠকের মতামত: